ফাহাদ খানঃ ফরিদগঞ্জে অনাথ চন্দ্র দাস(৫৭) নামে এক ব্যক্তির গলিত লাশ উদ্ধার করেছে ফরিদগঞ্জ থানা পুলিশ।
২৫ জুলাই রোববার বিকাল সাড়ে তিনটায় উপজেলার পাইকপাড়া দক্ষিণ ইউনিয়নের দক্ষিণ কড়ৈতলী গ্রামের একটি খাল থেকে এই লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।
নিহত ব্যক্তি একই ইউনিয়নের খুরুমখালী গ্রামের প্রয়াত গোপাল চন্দ্র দাসের ছেলে। তিনি পেশায় জেলে ও তিন সন্তানের জনক। স্থানীয় ইউপি সদস্য আলী হায়দার উজ্জল পাটওয়ারী জানান, পাইকপাড়া দক্ষিণ ইউনিয়নের সাহাপুর ও দক্ষিণ কড়ৈতলী গ্রামকে বিভক্তকারী ডাকাতিয়া নদীর শাখা কচুরিপানায় ঢাকা খালে একটি অজ্ঞাতনামা ব্যক্তির লাশ পড়ে আছে বলে স্থানীয় লোকজন জানায়। পরে থানা পুলিশকে সংবাদ দিলে পুলিশ এসে লাশ উদ্ধার করেনিয়ে যায়। স্থানীয়রা জানায়, সাহাপুর গ্রামের পন্ডিত বাড়ি ও দক্ষিণ কড়ৈতলী গ্রামের লদ বাড়ির মধ্যখানে খালের মধ্যে কচুরিপানা মধ্যে থাকা লাশটির গলিত অবস্থায় পড়ে ছিল। লুঙ্গি পড়া, গায়ে নীল রংঙের একটি গেঞ্জি বা শার্ট ছিল। লাশটিতে পচঁন ধরেছে তাই ধারনা করা হচ্ছে ৪/৫দিন পুর্বে তার মৃত্যু হয়েছে। এদিকে লাশ উদ্ধারের সন্ধান পেয়ে একই ইউনিয়নের খুরুমখালী গ্রামের রঘুনাথ চন্দ্র দাস ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশটি তার নিঁখোজ ভাই অনাথ চন্দ্র দাস(৫৭) এর বলে সনাক্ত করেন। তিনি জানান, গত সোমবার সকালে তিনি বাজারের উদ্দেশ্যে বাড়ি থেকে বের হওয়ার পর আর বাড়ি ফিরেনি।
ফরিদগঞ্জ থানার এসআই আনোয়ার হোসেন জানান, সুরতহার রিপোর্ট করার সময় লাশের শরীরে আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে । এব্যাপারে ফরিদগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ শহিদ হোসেন জানান, প্রথমে অজ্ঞাত পরিচয় হিসেবে লাশটি উদ্ধার করতে গেলেও ঘটনাস্থলেই লাশটির পরিচয় পাওয়া গেছে। নিহত ব্যক্তি অনাথ চন্দ্র দাস। পেশায় একজন জেলে। তার ভাই রঘুনাথ দাস পরনের লুঙ্গি ও গায়ের গেঞ্জি দেখে সনাক্ত করেছেন। লাশটি উদ্ধার করে পোস্ট মর্টেমের জন্য চাঁদপুরে পাঠানোর প্রস্তুতি নেয়া হচ্ছে।
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।